Pages

Subscribe:

মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০১৪

প্রেম-ভালোবাসার গল্প

জানুয়ারীর এক ঠান্ডা বিকেলের কথা আমি বসে ছিলাম শহরের নির্জন অংশের ছোট্ট একটা কফিশপে এক হাতে ছিল এক মগ এক্সপ্রেসো কফি, আরেক হাতে একটা রগরগে চাররঙের ম্যাগাজিন শীতটা সে বছর একটু বেশিই পড়েছিল, পশমের মোটা পুলওভার, ধোয়া ওঠা এক্সপ্রেসো কফি আর ম্যাগাজিনের পাতার উত্তেজক বিদেশী নায়িকাদের সাংঘাতিক নাভি-পেট বুক কিছুই ওম দিচ্ছিল না জানুয়ারীর হিম রক্তের ভেতরঢুকে পড়ে পুরো শরীর জুড়ে একধরণের শিরশিরানো অনুভূতি জাগাচ্ছিল


এরকম এক শীতের বিকেলে তার সাথে প্রথম পরিচয় সেও এসেছিল কফি খেতে বসেছিল আমার ঠিক সামনের টেবিলে আশ্চর্যের ব্যাপার এত কাছে থাকা এবং যথেষ্ট সুন্দরী হওয়া সত্ত্বেও তারদিকে আমার চোখ পড়েনি
সে যখন ধীর পায়ে আমার টেবিলে এসে বলেছিল, " আপনি খুব চমত্কার অভিনয় করেন " তখনই আমি মেয়েটার দিকে তাকালাম তার মাথাভর্তি ছিল আলুথালু বাদামি রঙের চুল, খাড়া নাক,গভীর গভীর দুটো চোখ, পাতলা ঠোঁট, গায়ে চকোলেট রঙা একটামেয়েদের জ্যাকেট আর গলায় প্যাচানো কাশফুলের মতো শাদা একটা উলের ওড়না
আমি কিছুটা থতমত খেয়ে তাকে বসতে বলেছিলাম বসতে বসতে মিষ্টি এক চিলতে হাসি হেসে সে আবার বলেছিল, "আপনি খুব ভালো থিয়েটার করেন।" 'দিন আগে স্থানীয় একটা সরকারী কলেজে আমরা একটা নাটক করেছিলাম, এই মেয়ে সম্ভবত ঐকলেজের ছাত্রী আমি একটু লজ্জার হাসি হেসে বলেছিলাম, " আর কি "
এই ভাবে শুরু হলো... আমি সেদিন জোর করে তার কফির বিলটা দিয়ে দিয়েছিলাম, আর সে পার্চ থেকে একটা গোলাপী নোটপ্যাড বের করে টুকে নিয়েছিল আমার মোবাইল নাম্বারটা
তারপর থেকে মোবাইল ফোনে টুকটাক কথা, এস এম এস, মাঝে মাঝে কফিশপে আড্ডা, তারও পরে, যাহয় আর কি, আমরা প্রেমে পড়ে গেলাম
মেয়েদের ক্ষেত্রে একটা অভিযোগ প্রায়ই আনা হয়, তারা নাকি ছেলেদের টাকা-পয়সাটাই আসলে পছন্দ করে আমিও এরকমই ভাবতাম, কিন্তু সামান্য কফি ছাড়া আর কিছুই খেতে চাইতো না, আর এটা ওটা কিনে দিলে তো রীতিমতো ফণা তুলতো, এতে নাকি ওর ইগোতে আঘাত করা হয় পছন্দ করতো হাত ধরাধরি করে রেল লাইন বা নদীর ভেজা পাড় ধরে খালি পায়ে হাঁটতে আর হাঁটতে হাঁটতে প্রায়ই একটা অবিশ্বাস্য কাজ করত : ইনিয়ে বিনিয়ে আমার চেহারার প্রশংসা করত প্রথমে পাত্তা দিতাম না, ভাবতাম মজা করছে, কিন্তু আস্তে আস্তে বুঝলাম, কোন এক বিচিত্র কারণে আমার কালো কার্টুনের মতো চেহারাটা ওর মনে ধরে গেছে বলতে লজ্জা নেই, তারপর থেকে আমি নিজেকে আয়নায় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা আরম্ভ করলাম এবং আশ্চর্যের ব্যাপার 'দিনের ভেতর প্রথমবারের মতো মনে একটা ক্ষীণ সন্দেহ জাগলো : আমি মনে হয় দেখতে ভালোই
সেই থেকে নিজের চেহারার যত্ন আত্তি শুরু করে দিলাম কসমেটিকের দোকান থেকে ফেসওয়াশ, ফেয়ারনেস ক্রিম, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার কিনে আনলাম চেহারার সাথে মানানসই দেখে নতুল কায়দায় চুল রেখে দিলাম দু'দিন পর পর ফোম শেভ করতে লাগলাম
আমার মনে হলো, শুধু চেহারা ভালো করলে হবে না সাথে শরীরটাও যুতসই করা দরকার ভর্তি হয়ে গেলাম শহরের অভিজাত একটা জিমে পাল্টে ফেললাম দৈনন্দিন খাবারের মেনু বয়স, উচ্চতা আর ওজনের কথা মাথায় রেখে ক্যালোরি মেপে মেপে খাওয়ার অভ্যাস করলাম
একমাসের ভেতর আমার শরীর চেহারা পোশাক আশাকে এক অভাবনীয় পরিবর্তন আসল কী বলব, নিজেই নিজের প্রেমে পড়ে গেলাম
ওর সাথে ঘুরতে বেরোই, একথা সেকথার পর পায়ের নখের দিকে তাকিয়ে মৃদু গলায় বলে,তুমি দিনকে দিন আরো বেশী সুন্দর হচ্ছ আমি মনে মনে নিজের পিঠ চাপড়াই আর বাসায় যেয়েঅমনি আয়নার সামনে দাঁড়াই এইভাবে নিজের প্রতি আমার ভালোবাসা প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়তে লাগল
আরো কিছুদিন পর, যে দিন আমি আবিষ্কার করলাম, পৃথিবীর যে কোন কিছুর চেয়ে আমি আমার যত্নে করা গড়ে তোলা শরীর এবং চেহারাটাকে অনেকগুন বেশী ভালোবাসি, সেদিন আচমকা রোড য়্যাক্সিডেন্ট করল প্রচুর রক্তক্ষরণ হল ডাক্তার বলল, দ্রুত রক্তের ব্যাবস্থা করুন
ওর আর আমার রক্তের গ্রুপ একই, তবুও আমি ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলাম, কোনো ব্লাড ব্যাংকে গ্রুপের রক্ত আছে কি না, কেননা আমি ততদিনে নিজেকে সবচে' ভালোবাসতে শিখেছি
ভালোবাসার শরীর থেকে কে রক্ত ঝরাতে চায় বলুন?
 

সোমবার, ১২ মে, ২০১৪

প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কে ৫টি বিষয় : যা কেউ জানে না

প্রেম-ভালোবাসার নিবেদন সব সময়ই প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর। তবুও কিছুদিন গত হয়ে যাওয়া ভ্যালেন্টাইন ডে'র কল্যাণে এখনো বাতাসে ভালোবাসার রেশ বেশ তীব্র। আর এ বিষয়ে সম্প্রতি একচোট গবেষণাও হয়ে গেছে।গবেষকরা ৫টি বিষয়ের অবতারণা করেছেন। তারা বলছেন, প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্কে এই ৫টি বিষয়ে কেউই অবগত নন। কাজেই অজানা তথ্যগুলো এখনি জেনে নিন



১. ভালোবাসা কোনো ব্যক্তিগত আবেগ নয়প্রেমের আবেগতাড়িত অনুভূতিকে কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত ভাব বলে মনে করা উচিত নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যখন কারো প্রতি আপনি প্রেমের অনুভূতি অনুভব করেন, তখন একের কাছে অপরের প্রতিবিম্ব ফুটে ওঠে। দুজনের প্রতি দুজনের চোখাচোখি, প্রাণরসায়নের টানাপড়েন এমনকি স্নায়ুর মধ্যে মূর্ত হয়ে ওঠা আগুনের স্ফূলিঙ্গ এ প্রতিবিম্ব ফুটিয়ে তোলে। কাজেই ভালোবাসা হচ্ছে পারস্পরিক জৈবিক ঢেউ যা একযোগে দুজনের দেহ-মনে-প্রাণে বয়ে যায়।

২. মস্তিষ্ক এবং  হৃদযন্ত্রের যোগাযোগকে নিরাপদ করে ভালোবাসাঅনেকে প্রায়ই বলেন, যে মানুষরা সামাজিক এবং সামাজিকতার নানা বিষয় দারুণ বোঝেন, তারা নাকি দীর্ঘজীবী হয়ে থাকেন। এমনটি কেনো হয় তা এখনো অজানা। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, এক দল মানুষকে যখন তাদের প্রতিদিনের জীবনে যার যার ভালোবাসার মুহুর্তগুলোকে অনুভব করতে বলা হয়, তখন দেখা গেছে তাদের ক্র্যানিয়াল নার্ভের জীবনকাল বেড়ে যায়। এই ক্র্যানিয়াল নার্ভ বা ভাগুস নার্ভ মস্তিষ্ক এবং হৃদযন্ত্রের মধ্যে সংযোগের মূল চাবিকাঠি।

৩. ভালোবাসার অনুভূতি নেতিবাচক কিছুর অবদমন নয়যদি ভেবে থাকেন ভালোবাসা হচ্ছে দুজনের মধ্যে শুধুমাত্র সুখানুভূতির লেনদেন, তবে ভুল করছেন। দুজনের যন্ত্রণাকাতর অনুভব থেকেও ভালোবাসা বিচ্ছুরিত হয়। নেতিবাচক কোনো আবেগ দমিয়ে রাখাই প্রেম বা ভালোবাসার অনুভব নয়। বস্তুত, দুজনের গোটা মনমানসিকতাপ্রসূত নির্যাসের প্রতি পরস্পরের সহানুভূতি বা পরদুঃখকাতরতাই ভালোবাসার নামান্তর। একের প্রতি অপরের উদারতা এবং পারস্পরিক অনুভূতির সমন্বয়ে কাঠিন্যের বিগলনই ভালোবাসা।

৪. ভালোবাসা কখনোই বাধাগ্রস্ত নয়আপনার বন্ধুমহল বা পরিবার বা অন্য কারো প্রতি ভালোবাসা জন্মালে তা মনের অতলে কখনোই বাধাগ্রস্ত হয় না। আপনার মনে যে ভালোবাসার অস্তিত্ব রয়েছে, তার আকার বৃদ্ধিতে আপনি মনের গভীর থেকে কখনোই বাধা পাবেন না। আপনার এ অনুভূতি বাধাহীনভাবে দেহ-মনে ছড়িয়ে পড়বে এবং তার গঠন সচল থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি নিরাপদ বোধ করবেন।

৫. ভালোবাসার প্রতি চিন্তাধারার পরিবর্তনে ধারণক্ষমতার পরিবর্তন ঘটবেনিজের ব্যক্তিগত বা পেশাদার জীবনের নানা বিষয় নিয়ে যদি একান্তে কিছুক্ষণ চিন্তামগ্ন হতে পারেন, তবে দেখবেন অনেক বিষয়েই আপনার ধ্যান-ধারণার আকস্মিক পরিবর্তন আসতে পারে। ভালোবাসার মানুষের প্রতি প্রতিদিনই যদি কিছু সময় ব্যয় করেন, দেখবেন বহু জটিল ক্ষেত্রগুলো আচমকা নতুন সম্ভাবনার পথে ঘুরে যাবে। তখন ভালোবাসার সংজ্ঞা আপনার কাছে নতুন করে ধরা দেবে। কাজেই যাদের মনে জটিলতা রয়েছে, তারা আজই এ কাজের চর্চা শুরু করে দেন।সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া 

শারীরিক মিলন নারীর ভালোবাসা প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক !

লাইফ স্টাইল ডেক্স :: বিবাহিত নারীর ভালোবাসা প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক শারীরিক মিলন৷ আবার শারীরিক প্রয়োজনীয়তার একপ্রকার বহিঃপ্রকাশ সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি৷
কিন্তু আপনি জানেন কি শারীরিক চাহিদা বা ভালোবাসা প্রকাশের দিক ছাড়াও এর অনেক গুণ আছে যার ফলে আপনার ব্যক্তিজীবন আনন্দে ভরপুর হয়ে উঠতে পারে—

ত্বক ভালো থাকে : শারীরিক মিলনের সময় সারা শরীরে একপ্রকার ম্যাসাজ চলে তার দ্বারা রিল্যাক্সেশনের ফলে শরীরে কোন প্রকার দাগ থাকে না বা তা ধীরে ধীরে লুপ্ত হতে থাকে৷

সৌন্দর্য্য বাড়ে : শারীরিক মিলন কালে হরমোন নিঃসরনের ফলে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে তার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপরে৷ তার ফলে সৌন্দর্য্য বেড়ে ওঠে৷ আপনার সারা শরীরের মাদকতা আপনার মধ্যে গ্লো আনে৷ শারীরিক মিলন কালে মহিলাদের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নিংসৃত হতে থাকে, যার দ্বারা তাদের চুল এবং ত্বক আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে৷

পিরিয়ডের সময় ব্যাথা কম হয় : যে সব মহিলাদের সেক্স্যুয়াল লাইফ খুব ভালো হয় তাদের পিরিয়ডের ক্ষেত্রে সমস্যা কম হয়৷ সাধারণতঃ পিরিয়ডের সময় মহিলাদের খুব বেশী ব্যাথা হযে থাকে৷ যাদের সেক্স্যুয়াল লাইফে কোন প্রকার অসুবিধা থাকে না তাদের এই সময়ে ব্যাথার অনুভুতি কম হয়৷ আর শরীরিক মিলনের দিক ঠিক থাকলে পিরিয়ডের আগে মহিলাদের মধ্যে অনেক সময় যে সমস্যা দেখা যায় তাও থাকে না৷

কার্ডিওভাস্কুলার এর ক্ষেত্রে উন্নতি : মহিলারা শারীরিক মিলনের সময় উত্তেজিত হয়ে উঠলে তাদের হার্টের গতি বেড়ে যায়, ফলে তাদের কার্ডিওভাস্কুলার এর সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে৷

মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি : মানসিক প্রশান্তি আনার দিক থেকে নিয়মিত শারীরিক মিলনের অভ্যাস সবথেকে ভালো৷ কারণ শারীরিক মিলনের ফলে মন উত্ফুল্ল থাকে ফলে মানসিক অশান্তি কম হয়৷

ওজন কমে : শারীরিক মিলনের ফলে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি কম হয় তার ফলে ব্যক্তির ওজন কম হয়৷ নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনের ফলে পেটের স্থূলতা কম হয়, আর মাংসপেশীতে জড়তা কম দেখা যায়৷

বিস্বস্ত তা বাড়ে : শারীরিক মিলনের বোঝা পড়া ঠিক থাকলে তারা একে ওপরকে কখনও ঠকায় না৷ তাদের ঘনিষ্ঠতা তাদের এমন কাজ করতে দেয় না৷

কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে : শারীরিক মিলনের সময় হরমোন নিঃসরণ হয় তাই মন শান্ত থাকে আর নিরন্তর কাজের ক্ষমতা বাড়তে থাকে৷ নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির যৌবন অনেক দিন পর্যন্ত বর্তমান থাকে৷ এর মাধ্যমে ফিটনেস লেবেল বাড়ে৷ শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন স্ফুর্তি অনুভব করে৷ সারাদিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব দেখা যায়৷ এর দ্বারা সারাদিনের ক্লান্তি থেকে এবং নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷ -ইন্টারনেট

প্রেমপত্রের ইতিহাস সম্ভবত সভ্যতার মতই প্রাচীন।

প্রেমপত্র হলো প্রিয়জনের কাছে লিখিত উপায়ে ভালোবাসা প্রকাশ করার একটি পন্থা। হাতে বা অন্য কোন মাধ্যমে, যে ভাবেই দাওয়া হোক না কেন, প্রেমপত্রে মনের অনুভূতি ব্যক্ত হয়ে থাকে।


প্রেমপত্রের ইতিহাস

প্রেমপত্রের ইতিহাস সম্ভবত সভ্যতার মতই প্রাচীন। প্রাচীন গ্রীক, রোমান, চীনা সভ্যতার দলিলে প্রেমপত্র প্রদানের প্রচলনের প্রমান পাওয়া গিয়েছে। তবে সেগুলো খুবই সরল ভাষায় লেখা। মধ্যযুগীয় প্রেমপত্রগুলোতে লেখনীর দক্ষতার ক্রমবিকাশ লক্ষ্য করা যায়। মধ্যযুগে প্রেমপত্র আদান-প্রদানের প্রধান বাহক ছিল পোষ মানানো কবুতর। প্রেমিক-প্রেমিকা কবুতরের পায়ে বেঁধে প্রিয় মানুষটির কাছে মনের কথা কাগজে বন্দি করে পাঠিয়ে দিত।

আধুনিক প্রেমপত্র

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের আগে এই প্রেমপত্রই ছিল প্রেমিক-প্রেমিকাদের যোগাযোগের প্রধান উপায়, বিশেষ করে যুদ্ধের সময়-যখন তাদের মধ্যে দূরত্ব অনেক বেশি। ঐ সব সময়ে যোদ্ধারা উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করে থাকতো তাদের প্রিয় মানুষটির পত্রের অপেক্ষায়।
এমনকি এই ইলেক্ট্রনিক যুগেও প্রেমপত্র তার ভূমিকা ঠিকই পালন করে যাচ্ছে। কাগুজে লেখার চেয়ে এখন মানুষ ই-মেইলের মাধ্যমেই বেশি প্রেমপত্র বিনিময় করে থাকে। তা সহজেই বোঝা যাবে প্রেমপত্র লেখার উপদেশমূলক ওয়েবসাইটগুলো দেখলে।
তবে কাগুজে লিখিত প্রেমপত্রের আবেদন এখনও কমেনি। প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া চিঠি পড়ার অনুভূতি সবসময়ই অন্যরকম।

ধরণ ও কাঠামো

প্রেমপত্র লেখার কোন নির্দিষ্ট কাঠামো নেই। একজন যে উপায়ে তার মনের অনুভূতিগুলো লিপিবদ্ধ করতে পারবে তার সেভাবেই প্রেমপত্র লেখা উচিৎ। সেকারনে প্রেমপত্রের ধরণ বিভিন্ন। ঐতিহাসিক ভাবে সমাদৃত ধরণ হলো কাব্যিক উপায়ে লেখা। উইলিয়াম শেকসপিয়রের সনেটগুলো মাঝেমাঝেই আবেগী পত্রের উদাহরণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
একটি সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার সময় প্রেমপত্র ফেরত দাওয়া রীতি প্রচলিত আছে।

ঐতিহাসিক প্রেমপত্র

ইতিহাসের অনেক বিখ্যাত মানুষই তার প্রিয়জনের কাছে প্রেমপত্র লিখেছেন। তাদের মধ্যে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট, লর্ড বাইরনবেথোভেম, উইনস্টন চার্চিল,ভিক্টর হুগো, জন কিটস[১] –এর প্রেমপত্র দলিল হিসেবে আজও রয়ে গেছে।

আপনি কি সঠিক ভাবে বলতে পারবেন ভালোবাসা কি ? ভালবাসার সংজ্ঞা

ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালোবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালোবাসা সাধারণত গভীর হয়,বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালোবাসা থেকে পৃথক করা যায়না। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিস্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে...এমনকি কোন কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এটাই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালোবাসা।


সংজ্ঞা[সম্পাদনা]

ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক,অনুমান এবং অর্ন্তদর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই ভালোবাসার মত একটি সর্বজনীন ধারণাকে আবেগপ্রবণ ভালোবাসা, কল্পনাপ্রবণ ভালোবাসা কিংবা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ভালোবাসা এসব ভাগে ভাগ করার পক্ষপাতী নন। তবে এসব ভালোবাসাকে শারীরিক আকর্ষণের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিন্যাস করা যেতে পারে। সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের প্রতি অনুভব করে। কারো প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা কিংবা প্রতিক্ষেত্রে কারো উপস্থিতি অনুভব করা ভালোবাসার সাথেই সম্পর্কযুক্ত। অধিকাংশ প্রচলিত ধারণায় ভালোবাসা, নিঃস্বার্থতা, স্বার্থপরতা, বন্ধুত্ব, মিলন, পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।
ভালোবাসার সাধারণ এবং বিপরীত ধারণার তুলনা করে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভালোবাসাকে জটিলভাবে বিচার করা যায়। ধনাত্নক অনুভূতির কথা বিবেচনা করে ভালোবাসাকে ঘৃণার বিপরীতে স্থান দেয়া যায়। ভালোবাসায় যৌনকামনা কিংবা শারীরিক লিপ্সা একটা গৌণ বিষয়। এখানে মানবিক আবেগটাই বেশী গুরুত্ববহন করে। কল্পনাবিলাসীতার একটা ক্ষেত্র হচ্ছে এই ভালোবাসা। ভালোবাসা সাধারণত শুধুমাত্র বন্ধুত্ব্ব নয়। যদিও কিছু সম্পর্ককে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব বলেও অবিহিত করা যায়।